জুবায়ের খন্দকার, ময়মনসিংহঃ-
মোফাজ্জ হোসেন (২১) ও শিপন মিয়া (৩২)-নামের দুই ব্যক্তি করোনার টিকা দেবে বলে নিবন্ধন করতে গিয়ে তারা উভয়ই জানতে পারেন তারা মৃত। ফলে তাদের করোনার টিকা দেওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের রাজিবপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের স্বল্প চরপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে আর শিপন মিয়া ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর টানপাড়া মলামারি গ্রামের মৃত আবু সাঈদের ছেলে।
তাদের দুজনের ভাষ্যমতে সরোজমিনে তদন্ত করে দেখা গেছে যে, শিপন মিয়া ২০০৮ সালের ভোটার হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। আর মোফাজ্জল হোসেন ২০১৩ সালের ভোটার হয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। ২০১৫ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রে তাদেরকে মৃত দেখানো হয়।
এ ব্যাপারে শিপন মিয়া বলেন-করোনার টিকা দেওয়ার নিবন্ধন করতে গিয়ে দেখতে পাই আমি ২০১৫ সালে জীবিত থেকেও মারা গেছি। পরে স্থানীয়দের পরামর্শে নির্বাচন অফিসে গিয়ে সংশোধনের আবেদন করে এসেছি।
মোফাজ্জল হোসেন বলেন-আমি ২০১৩ সালে আমার জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করি। করোনার টিকা দেওয়ার নিবন্ধন করতে গিয়ে দেখতে পাই আমি ২০১৫ সালে মারা গেছি। যার জন্য আমি টিকার নিবন্ধন করতে পারিনি।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাহাবুবুল হক বলেন-শিপন মিয়া ও মোফাজ্জল হোসেনের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর কাগজপত্র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে খুব দ্রুতই এই বিষয়টির সমাধান করা হবে বলে জানালেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কমিশনের এই কর্মকর্তা।