অন্ধ পিতার এক কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার তামাট নামক গ্রামে। এ ঘটনায় ভিক্টিমের মা বাদি হয়ে গতকাল সোমবার ভালুকা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। আর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলার বরাইল নামক গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে রিপনকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তের সূত্র থেকে জানা গেছে যে, ভিক্টিমের অন্ধ পিতা উপজেলার তামাট গ্রামের বাসিন্দা। মামলার বাদী অন্ধ স্বামীকে বাড়িতে রেখে রাস্তায় কার্পেটিংয়ের কাজ করতেন। অন্ধ স্বামীকে দেখাশুনার জন্য প্রতিদিনই ভিক্টিমকে বাড়িতে রেখে যেতেন। দিনের বেলায় ভিক্টিমের মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে রিপন মিয়া (২৭) প্রায় প্রতিদিনই ভিক্টিমের বাসায় যাওয়া আসা করতো। সেই সুবাদে ভিক্টিমের সাথে রিপনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিভিন্ন সময় নানা ধরনের প্ররোচনা আর প্রলোভন দেখিয়ে ভিক্টিমের সাথে রিপনের শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত শনিবার ভিক্টিম তমাট বাজারে যাওয়ার পথে এডওয়ার্ড মার্কেটর সামনে পৌছামাত্র তমাট গ্রামের আঃ রহমান খর ছেলে উসমান খা (৩৪), ওই গ্রামের আব্দুল মজিদ খার ছেলে এডওয়ার্ড খান মনিরের সহযোগিতায় রিপন মিয়া ভিক্টিমকে সিএনজিতে উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরদিন রবিবার দুপুরে ভিক্টিমকে তমাট বাজারে পাওয়া যায়।
মামলার দুই নাম্বার আসামি রিপন উসমান খার বাড়িতে ভাড়া থাকত। এ ঘটনায় ভিক্টিমের মা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ভালুকা থানার পরিদর্শ (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন-ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধের প্রধান আসামি রিপন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরে আটকের অভিযান চলছে।